মোটা টাকা জমানোর জন্য যে অনেক টাকা বিনিয়োগ (Investment Plan) করতে হয়, এটা ভাবার কোনও কারণ নেই। মাসে মাসে মাত্র ৩০০০ টাকা জমিয়েও আপনি হয়ে যেতে পারেন কোটিপতি! না, একেবারেই কোনও রকম ইয়ার্কি করা হচ্ছে না! কোন প্ল্যানে, কীভাবে বিনিয়োগ (Investment) করলে আপনিও কোটিপতি হতে পারেন চলুন দেখে নেওয়া যাক।
বর্তমান সময়ে মানুষের কাছে বিনিয়োগের একাধিক বিকল্প (Investment Plan Options) রয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগই মার্কেট লিঙ্কড ও গ্যারান্টিযুক্ত রিটার্ন দেয়। অবসরের পর মোটা টাকা জমানোর জন্য অনেকেই এই প্ল্যানগুলি বেছে নেন। এর মধ্যে অন্যতম হল মিউচুয়াল ফান্ড সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান (Mutual Fund Systematic Investment Plan)।
৩০০০ টাকা বিনিয়োগে ১ কোটি রিটার্ন!
যদি কোনও ব্যক্তি মার্কেট লিঙ্কড বিনিয়োগ করেন, তাহলে চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ পাবেন। অর্থাৎ শুধুমাত্র বিনিয়োগ করা টাকার ওপর নয়, সামগ্রিক কর্পাসের ওপর সুদ পাওয়া যায়। এখনও যদি কেউ প্রত্যেক মাসে ৩০০০ টাকা এসআইপি (SIP) করে থাকেন, তাহলে ১২% হিসেবে রিটার্ন ধরে তাঁর হাতে আসতে পারে ১ কোটি টাকা!
আরও পড়ুনঃ এই তিন স্কিমে বিনিয়োগ করলে সুরক্ষিত হবে ছেলেমেয়ের ভবিষ্যৎ, সন্তান সাবালক হলে মিলবে ৭০ লাখ টাকা!
বিনিয়োগকারীকে কী করতে হবে?
এক্ষেত্রে প্রশ্ন হল, বিনিয়োগকারীকে কী করতে হবে? উত্তর হল, একজন বিনিয়োগকারীকে মিউচুয়াল ফান্ডে (Mutual Fund) মাসিক এসআইপি করতে হবে। এবার সেটা একটি মিউচুয়াল ফান্ড যেমন হতে পারে, তেমনই একাধিকও হতে পারে। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে স্টক মার্কেট ভালো পারফর্ম করার পর থেকে মিউচুয়াল ফান্ডে ভালো রিটার্ন পাওয়া যাচ্ছে। যেহেতু মিউচুয়াল ফান্ডের অর্থ শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগ করা হয়, সেই কারণে এই সময় ধরে এমন চোখধাঁধানো রিটার্ন মিলছে!
আরও পড়ুনঃ ৫ বছর টাকা রেখে পাবেন ২১ লাখ রিটার্ন! এই স্কিমে বিনিয়োগ করলে হু হু করে বাড়বে ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স
এখন যদি কোনও ব্যক্তি একটি এসআইপিতে (SIP) ৩০ বছর ধরে মাসিক ৩০০০ টাকা বিনিয়োগ করেন, তাহলে সেই ব্যক্তির মোট বিনিয়োগ করা অর্থের পরিমাণ হবে ১০.৮০ লাখ টাকা। এবার যদি ১২% হারে বাৎসরিক সুদ ধরা হয় তাহলে দীর্ঘমেয়াদী মূলধন দাঁড়াবে ৯৫.১ লাখ টাকা। মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি রিটার্ন পাবেন ১.০৫ কোটি টাকা। এবার অনেকেই ভাবতে পারেন, ৩০ বছর মানে অনেক লম্বা বিনিয়োগ! সেক্ষেত্রে যদি কেউ ২৫ বছর বয়স থেকে বিনিয়োগ শুরু করেন তাহলে ৫৫ বছর বয়সের মধ্যেই তিনি কোটিপতি হয়ে যেতে পারেন।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ এই প্রতিবেদনটি পাঠকদের জ্ঞানলাভের জন্য লেখা হয়েছে। কোনও প্ল্যানে বিনিয়োগ করার জন্য পাঠকদের উৎসাহিত করা হচ্ছে না। নিজের কষ্টার্জিত অর্থ বিনিয়োগ করার আগে অবশ্যই ভাবনাচিন্তা করুন এবং বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে তারপর যে কোনও প্ল্যানে বিনিয়োগ করুন।