সব আশায় জল! বিদ্যুৎ বিল জমা নিয়ে নতুন ঘোষণা শুনে মাথায় হাত গ্রাহকদের

গ্রাম হোক বা শহর, এখন দেশের প্রায় প্রত্যেক বাড়িতে ইলেকট্রিক (Electric) পরিষেবা আছে। বিদ্যুৎ ছাড়া এখন রোজনামচার জীবন কল্পনা করাই একপ্রকার মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঘরের লাইট, ফ্যান থেকে শুরু করে টিভি, এসি, ফ্রিজ- সবকিছুই বিদ্যুতে চলে। আর তার ওপর নির্ভর করে আসে ইলেকট্রিক বিল (Electric Bill)।

পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal) সাধারণত তিন মাস অন্তর বিদ্যুৎ বিল (Electric Bill) জমা দেওয়া হয়। তিন মাস অন্তর বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীরা গ্রাহকদের বাড়ি আসেন এবং মিটার দেখে বিদ্যুতের বিল দেন। গ্রাহকরা কত পরিমাণ বিদ্যুৎ খরচ করেছেন তার ওপর নির্ভর করে ইলেকট্রিক বিল মেটাতে হয়। যদিও তিন মাস অন্তর বিদ্যুতের (Electric) বিল আসার নিয়ম প্রসঙ্গে অনেকে মনে করেন, এতে আদতে খরচ বেশি হয়।

WBSEDCL Electric Bill

বদলে যাবে ইলেকট্রিক বিল জমা দেওয়ার নিয়ম? (WBSEDCL Electric Bill Payment Rules)

রাজ্যের বহু গ্রাহকের পাশাপাশি অনেক বিরোধী দলনেতা বিভিন্ন সময় বিদ্যুৎ বিল (Electric Bill) জমা দেওয়ার নিয়মে পরিবর্তন আনার দাবি করেছেন। তিন মাস অন্তর ইলেকট্রিক বিল জমা দেওয়ার বদলে প্রত্যেক মাসে মিটারের রিডিং দেখে ইলেকট্রিক বিল দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন অনেকেই। এরপর বিভিন্ন জায়গায় পরীক্ষামূলকভাবে এই পদ্ধতিটি চালু করা হয় । তা দেখে অনেকেই ভেবেছিলেন, এবার হয়তো ইলেকট্রিক বিল জমা দেওয়ার নিয়ম বদলাতে চলেছে! সত্যিই কি তাই? সম্প্রতি রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস (Aroop Biswas) কী বলেছেন চলুন দেখে নেওয়া যাক।

আরও পড়ুনঃ দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি, মোবাইল অ্যাপ দিয়ে ২ মিনিটেই হবে আধার আপডেট!

রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রী কী বলছেন?

সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের বিদ্যুৎ মন্ত্রী সাঁওতালডিহি গিয়েছিলেন। সেখানে অরূপ বিশ্বাস বলেন, রাজ্যের বেশিরভাগ গ্রাহক তিন মাসের বিল দেওয়ার পক্ষপাতী। সেই সঙ্গেই তিনি বলেন, প্রত্যেক মাসে ইলেকট্রিক বিল দেওয়ার বিষয়টি চালু করা বেশ সহজ মনে হলেও, এটা আদতে কঠিন। প্রত্যেক মাসে ইলেকট্রিক বিল জমা দেওয়া হলে তাতে রাজ্য সরকারের আর্থিক বৃদ্ধি হবে একথা ঠিক। কিন্তু এই রাজ্যের প্রায় ২.২৫ কোটি গ্রাহক গ্রামীণ এলাকায় বসবাস করেন এবং তাঁরা তিন মাস অন্তর বিদ্যুতের বিল দেওয়ায় আগ্রহী।

আরও পড়ুনঃ পশ্চিমবঙ্গে ট্রাফিক আইনে বড় বদল! সমস্যায় পড়ার আগে অবশ্যই জেনে নিন

এখানেই না থেমে বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেন, তিন মাস অন্তর বিল দেওয়া হলে গ্রাহকদের বেশি খরচ হয় এবং মাসে মাসে বিল দেওয়ার নিয়ম চালু হলে সেই খরচ কমবে- এই দাবিদাওয়া ঠিক নয়। তিন মাস কী, যদি তিন বছরের মিটার রিডিং একসঙ্গে করেও যদি বিল দেওয়া হয় তাহলেও খরচ একই হবে। কয়লা সহ অন্যন্য সামগ্রীর দাম বৃদ্ধি পেলেও, শুধুমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার এদেশে ৭.১২ টাকা/ইউনিটে বিদ্যুৎ দিয়ে থাকেন বলে জানান তিনি।

Leave a Comment