ভারতের সর্বোচ্চ ব্যাঙ্ক নিয়ামক সংস্থা হল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (Reserve Bank Of India)। প্রত্যেকটি ব্যাঙ্কই এর অধীনে থাকে। এবার নতুন বছর পড়তে না পড়তেই ৪টি ব্যাঙ্কের লাইসেন্স বাতিল করলো RBI। কোন কোন ব্যাঙ্কের লাইসেন্স বাতিল (RBI Bank License Cancel) করা হলো? টাকা ফেরত পাবেন? সকল তথ্য তুলে ধরা হল এই প্রতিবেদনে।
দিন কয়েক আগে RBI-এর তরফ থেকে দেশের সবচেয়ে নিরাপদ ব্যাঙ্কের একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল। সেখানে স্থান করে নিয়েছিল স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (SBI), আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক (ICICI Bank) এবং এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক (HDFC Bank)। এই তিন ব্যাঙ্কে টাকা সুরক্ষিত জানানো হয়েছিল দেশের সর্বোচ্চ ব্যাঙ্ক নিয়ামক সংস্থার তরফ থেকে। এবার চারটি ব্যাঙ্কের লাইসেন্স বাতিল করে দিল RBI।
কোন কোন ব্যাঙ্কের লাইসেন্স বাতিল করা হল? (RBI Cancelled Bank License in 2024)
সম্প্রতি চারটি সমবায় ব্যাঙ্কের লাইসেন্স বাতিল করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। এই চার ব্যাঙ্কের নাম হল-
- বোটাড পিপলস কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক (The Botad Peoples Co-operative Bank)।
- আদর্শ মহিলা নগরী সহকারী ব্যাঙ্ক (Adarsh Mahila Nagari Sahakari Bank)।
- ফায়েজ মার্কেন্টাইল কো-অপারেটিভ (Faiz Mercantile Co-operative Bank)।
- মুসিরি আরবান কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক (Musiri Urban Co-operative Bank)।
আরও পড়ুনঃ LPG গ্যাস ও আধার লিঙ্ক না হলে গ্যাস পাবেন? বায়োমেট্রিক আপডেট নিয়ে বড় ঘোষণা কেন্দ্রের
কেন বাতিল হয় ব্যাঙ্কের লাইসেন্স?
দেশের প্রত্যেকটি ব্যাঙ্কের ওপর নজরদারি রাখার কাজ করে RBI। যদি কোনও প্রকার ত্রুটি বিচ্যুতি হয় তাহলে প্রথমে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করা হয়। অনেক সময় জরিমানাও করা হয়। এরপরেও যদি সেসব ব্যাঙ্কগুলি নিজেদের ভুল না শোধরায় সেক্ষেত্রে লাইসেন্স বাতিল করার পথে হাঁটে RBI।
সম্প্রতি যেমন বোটাড পিপলস কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের লাইসেন্স বাতিল করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। এটি নন-ব্যাঙ্কিং প্রতিষ্ঠান। এবার থেকে আর কোনও ব্যাঙ্কের কাজ পরিচালনা করতে পারবে না। পাশাপাশি গ্রাহকদের থেকে টাকা জমা নেওয়ার কাজও বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে RBI-এর তরফ থেকে। একই রকমভাবে আদর্শ মহিলা নগরী ব্যাঙ্কের কোনও ব্যাঙ্কিং লেনদেনও আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ একটাকাও মার যাবে না, ভারতের সবচেয়ে নিরাপদ ব্যাঙ্কের তালিকা প্রকাশ করল RBI
জানানো হয়েছে, মূলত মূলধনের কারণে এই ব্যাঙ্কের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। এই ব্যাঙ্ক যদি চলতো তাহলে ভবিষ্যতে গ্রাহকদেরই সমস্যা হতো। RBI-এর তরফ থেকে বলা হয়েছে, এই ব্যাঙ্কগুলিতে টাকার লেনদেন চলতে থাকলে গ্রাহকদের ক্ষতির মুখে পড়তে হতো। এছাড়া মহারাষ্ট্রের কো-অপারেটিভ সোসাইটির কমিশনার ও রেজিস্ট্রারকে ব্যাঙ্ক লিকুইডেশনের বিষয়ে নির্দেশও জারি করা হয়েছে সর্বোচ্চ ব্যাঙ্ক নিয়ামক সংস্থার তরফ থেকে।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, DICGC প্রকল্পের অধীনে, এই ব্যাঙ্কগুলির গ্রাহকরা সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা পবেন। এই বীমা স্কিমের অধীনে, ব্যাঙ্ক যদি দেউলিয়া হয়ে যায় তাহলে গ্রাহক সর্বোচ্চ টাকা পাবেন।