সরকারি কর্মীরা (Government Employees) যদি এই কাজ করেন তাহলে গুনতে হবে মোটা টাকা জরিমানা! সরকারি চাকরি মানেই সুখের চাকরি! কমবেশি অনেকেই এই ধারণা পোষণ করেন। তবে এবার এই ‘সুখের চাকরি’তেই যদি কেউ এই কাজ করেন তাহলে তাঁকে দিতে হতে পারে ১০,০০০ টাকা জরিমানা (Fine)। কী সেই কাজ? কেন দিতে হবে জরিমানা? এই বিষয়ে বিশদে জানতে সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি পড়ার অনুরোধ রইল।
অনেকসময়ে প্রয়োজনীয় কাজের জন্য সরকারি অফিসে গিয়ে হয়রানির শিকার হতে হয় সাধারণ মানুষকে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে কর্মীদের (Government Employees) রূঢ় আচরণও সহ্য করতে হয় তাঁদের। তবে এবার রাজ্যবাসীকে যাতে আর এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন না হতে হয় সেই জন্য কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার (West Bengal Government)।
কোন কাজ করলে দিতে হবে জরিমানা? (West Bengal Government Employees Fine)
নবান্ন (Nabanna) সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, এবার যদি সরকারি পরিষেবা পেতে গিয়ে সাধারণ মানুষ হয়রানির শিকার হন, তাহলে তিনি সংশ্লিষ্ট কর্মচারী/কর্মচারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে পারবেন। প্রথমে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ নিয়ে যেতে হবে তাঁকে। সেখানে যদি তাঁর সমস্যার সমাধান না করা হয় তাহলে তাঁকে জন পরিষেবা অধিকার কমিশনে যেতে হবে।
আরও পড়ুনঃ জানুয়ারির প্রথমার্ধে এই ফর্ম জমা না দিলে পাবেন না বেতন! সমস্যায় পড়ার আগে জেনে নিন কী করবেন
জরিমানার অঙ্ক বৃদ্ধি করলো সরকার!
জন পরিষেবা অধিকার কমিশনে নিজের অভিযোগ নিয়ে যাওয়ার পর সেই বিষয়ে তদন্ত করা হবে। যদি সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মচারী দোষী সাব্যস্ত হন তাহলে তাঁকে জরিমানা হিসেবে ১০,০০০ টাকা দিতে হবে। উল্লেখ্য, এই নিয়ম আগেও ছিল। তবে সম্প্রতি জরিমানার পরিমাণ বৃদ্ধি করে ১০,০০০ টাকা করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, জমির মিউটেশন, রেশন কার্ড, বার্থ এবং ডেথ সার্টিফিকেট, ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রভৃতি ক্ষেত্রে নবান্নের তরফ থেকে বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ শিক্ষার পথে বাধা হবে না আর্থিক সমস্যা, ছাত্রছাত্রীদের জন্য বিশাল ঘোষণা রাজ্য সরকারের
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পদে আসীন হওয়ার পর থেকে এই ধরণের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তিনি বলেছিলেন, সরকারি পরিষেবা সাধারণ মানুষের জন্য। তাই তাঁদের যেন হয়রানির শিকার না হতে হয়। সাধারণ মানুষের সুবিধার জন্য মুখ্যমন্ত্রী দুয়ারে সরকারের মতো প্রকল্পও শুরু করেছেন। এবার সরকারি দপ্তর কিংবা অফিসে এসেও যাতে রাজ্যবাসীকে হয়রান না হতে হয় তাই এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হল।