একজন ভিখারীও থাকবে না! দেশের ভিক্ষুকদের জন্য বড় ঘোষণা কেন্দ্রীয় সরকারের

কাশ্মীর টু কন্যাকুমারী না হলেও, উত্তরে অযোধ্যা থেকে দক্ষিণে তিরুবনন্তপুরম, পূর্বে গুয়াহাটি থেকে পশ্চিমে ত্রিম্বকেশ্বর অবধি মোট ৩০টি শহরকে ভিক্ষবৃত্তি মুক্ত (Beggary Free Cities) করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে কেন্দ্র (Central Government)। ধর্মীয়, পর্যটন এবং ঐতিহাসিক দিক থেকে তাৎপর্যপূর্ণ এই শহরগুলিতে ভিক্ষাবৃত্তির সঙ্গে জড়িত সকল মানুষ বিশেষত মহিলা ও শিশুদের ওপর একটি সমীক্ষা করা হবে।

এই হটস্পটগুলিকে চিহ্নিত করে সামাজিক ন্যায়বিচার এবং ক্ষমতায়ন মন্ত্রকের তরফ থেকে ভিক্ষুক মুক্ত (Beggar Free) করবে। ২০২৬ সালের মধ্যে এই কাজ সম্পন্ন করতে হবে বলে জানা গিয়েছে। কর্মকর্তাদের কথায়, আগামী দুই বছরের মধ্যে ৩০টি শহরের (City) এই তালিকায় দেশের আরও বহু শহরের নাম যুক্ত হতে চলেছে। তবে আপাতত এই ৩০টি শহরের ওপরেই ফোকাস করা হবে। SMILE-এর একটি প্রোজেক্টের (SMILE Project) অধীনে সেখানে এই সমীক্ষাগুলি করা হবে।

PM Narendra Modi Announcement

ভিক্ষাবৃত্তি মুক্ত ভারত (Bhiksha Vritti Mukt Bharat)

ভিক্ষুক মুক্ত ভারত তথা ভিক্ষাবৃত্তি মুক্ত ভারত (Beggary Free India) গড়ে তোলার লক্ষ্যে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি নাগাদ সামাজিক ন্যায়বিচার এবং ক্ষমতায়ন মন্ত্রকের তরফ থেকে একটি জাতীয় পোর্টাল ও মোবাইল অ্যাপ শুরু করা হবে। এর দ্বারা ভিক্ষাবৃত্তির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা ইনফরমেশনের রিয়েল টাইম আপডেট করা হবে। এরপর যাতে সঠিকভাবে এই সমীক্ষাগুলি বাস্তবায়িত হয়, সেই জন্য সিলেক্টেড শহরগুলির কর্তৃপক্ষকে মোবাইল অ্যাপে সকল নথি আপডেট করে দিতে হবে।

আরও পড়ুনঃ ১ তারিখ হলেই অ্যাকাউন্টে আসবে ১০০০ টাকা! ঝটপট আবেদন করুন নতুন রাজ্য সরকারের প্রকল্পে

কোন কোন শহর ভিক্ষুক মুক্ত করা হবে?

প্রাথমিকভাবে ধর্মীয়, পর্যটন এবং ঐতিহাসিক দিক থেকে তাৎপর্যপূর্ণ ১০টি শহরকে চিহ্নিত করা হয়েছে। ধর্মীয় দিক থেকে উল্লেখযোগ্য ১০টি স্থানের তালিকায় নাম আছে অযোধ্যা, ওমকারেশ্বর, বোধগয়া, কাংড়া, উজ্জয়িনী, পাভাগড়, সোমনাথ, গুয়াহাটি, মাদুরাই এবং ত্রিম্বকেশ্বরের নাম। নির্দেশিকা অনুযায়ী, নগর প্রশাসনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শ্রাইন বোর্ড এবং ধর্মীয় ট্রাস্টকেও এই স্থানগুলিতে ভিক্ষা করতে যাওয়া মানুষদের বাধা দিতে হবে।

পর্যটনের দিক থেকে উল্লেখযোগ্য স্থানের তালিকায় রয়েছে কেভাদিয়া, বিজয়ওয়াড়া, জয়সলমের, পুদুচেরি, শ্রী নগর, কুশিনগর, সাঁচি, নামসাই, খাজুরাহো এবং তিরুবনন্তপুরমের নাম। অন্যদিকে ঐতিহাসিক দিক থেকে জনপ্রিয় স্থানের লিস্টে স্থান করে নিয়েছে অমৃতসর, ওয়ারাঙ্গল, সিমলা, কটক, কোঝিকোড়, ইন্দোর, পঞ্চকুলা, মাইসুরু, উদয়পুর এবং তেজপুরের নাম।

আরও পড়ুনঃ মাসে ৩০০০ টাকা দেবে মোদী সরকার! এই কার্ড না থাকলে এখুনি করুন আবেদন

উপরিউক্ত ৩০টি শহরের মধ্যে ২৫টি শহর থেকে ইতিমধ্যেই একটি অ্যাকশন প্ল্যান গৃহীত হয়ে গিয়েছে। কটক, কুশিনগর, উদয়পুর এবং কাংড়া থেকে তা সম্মতির অপেক্ষায় আছে। অপরদিকে সাঁচির তরফ থেকে জানানো হয়েছে, সেখানে ভিক্ষাবৃত্তিতে নিযুক্ত কোনও মানুষ নেই। তাই সেক্ষেত্রে সাঁচির জায়গায় একটি অন্য শহর বিবেচনা করা যেতে পারে। মাদুরাই, বিজয়ওয়াড়া, মাইসুরু এবং কোঝিকোড় ইতিমধ্যেই নিজেদের সমীক্ষা সম্পন্ন করে ফেলেছে।

আধিকারিকরা এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, এই সমীক্ষায় প্রাথমিক তথ্য থেকে শুরু করে ভিক্ষার কারণ সম্বন্ধিত প্রশ্ন যেমন রয়েছে, তেমনই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ভিক্ষাবৃত্তি ছাড়তে চান কিনা, ভিক্ষাবৃত্তি ছাড়লে জীবিকার জন্য তিনি কী করতে চান এই ধরণের প্রশ্নও রয়েছে। সঠিক নিয়মে কাজের জন্য অর্থনৈতিক সাহায্য প্রদান করতে এই মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে বাস্তবায়নকারী জেল ও পৌর কর্তৃপক্ষকে তহবিল দেওয়া হবে বলেও জানা গিয়েছে।

Leave a Comment