মাসে ৩০০০ টাকা দেবে মোদী সরকার! এই কার্ড না থাকলে এখুনি করুন আবেদন

চলতি বছরের শুরু থেকে ই-শ্রম কার্ড (e-Shram Card) নিয়ে নানা আলোচনা শোনা যাচ্ছে। তবে এবার লোকসভা ভোটের প্রাক্কালে বিরাট ঘোষণা করলো কেন্দ্র (Central Government)। দেশের অগুনতি বেকার যুবক-যুবতী এবং অস্থায়ী শ্রমিকদের মুখ চেয়ে ই-শ্রম কার্ড নামক একটি জনকল্যাণমূলক পরিষেবা আনা হলো। বর্তমানে এদেশে নানান অসংগঠিত ক্ষেত্রে কয়েক কোটি মানুষ কাজ করেন। তাঁদের সুবিধার্থেই এবার বিরাট ঘোষণা করলো কেন্দ্রীয় সরকার।

ই-শ্রম কার্ড (e-Shram Card)

এদেশে এমন বহু মানুষ আছেন যারা দৈনিক পারিশ্রমিকের বিনিময়ে কাজ করেন। তাই তাঁরা যদি কোনও কারণে একদিন কাজে যেতে না পারেন, তাহলে তাঁদের বেতন কেটে নেওয়া হয়। ফলস্বরূপ তাঁদের সংসারে আর্থিক অনটন দেখা যায়। দেশের এই সকল মানুষদের সুবিধার কথা ভেবেই কেন্দ্রের তরফ থেকে ই-শ্রম কার্ডে আবেদনের (e-Shram Card Apply) ব্যবস্থা করা হয়েছে।

ই শ্রম কার্ড, Rs 3000 will be given to E Sharam Card Holders

জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই প্রায় ২০ কোটি মানুষ নাম নথিভুক্ত করা হয়ে গিয়েছে। শুধু তাই নয়, দেশের প্রায় ২ কোটি কোটি শ্রমজীবী মানুষ ই-শ্রম কার্ডের বিভিন্ন পরিষেবার ফলে উপকৃত হচ্ছেন। এক্ষেত্রে বলে রাখি, অসংগঠিত ক্ষেত্রে কর্মরত শ্রমিকদের জন্য যে সকল স্কিম (Government Scheme) রয়েছে সেই সকল স্কিমের সুবিধা পেতে হলে ই-শ্রম কার্ডে নাম নথিভুক্ত করানো কেন্দ্রীয় সরকারের (Central Government) তরফ থেকে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ আপডেট না করলে বন্ধ হয়ে যাবে আধার কার্ড! UIDAI এর ঘোষণায় চিন্তায় আমজনতা

আবেদনের যোগ্যতা (e-Shram Card Apply Criteria)

ই-শ্রম কার্ডের সুবিধা কিন্তু সকল দেশবাসী পাবেন না। কারা এই কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন চলুন দেখে নেওয়া যাক।

  1. যে সকল ব্যক্তি অসংগঠিত ক্ষেত্রে কাজ করেন তাঁরা এই কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
  2. আবেদনকারী প্রার্থীর বয়সসীমা হল ১৬-৫৯ বছর।
  3. ESI, EPFO সুবিধা পাওয়া ব্যক্তিরা ই-শ্রম কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন না।

আরও পড়ুনঃ ইচ্ছে মতো জল ব্যবহারের দিন শেষ, জলের জন্য এবার দিতে হবে বিল! কবে থেকে শুরু হচ্ছে এই নিয়ম?

আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় নথিপত্র 

উপরিউক্ত কার্ডের জন্য আবেদন করতে গেলে কী কী নথিপত্র লাগবে চলুন দেখে নেওয়া যাক।

  1. আবেদনকারীর আধার কার্ড।
  2. আবেদনকারীর নিজস্ব মোবাইল নম্বর।
  3. আবেদনকারীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সম্পর্কিত নথি।

ই-শ্রম কার্ডের সুবিধা (e-Shram Card Benefits)

এই কার্ডে কী কী সুবিধা পাওয়া যাবে তা নিম্নে তুলে ধরা হল।

  1. অসংগঠিত ক্ষেত্রে কর্মরত কর্মীরা ৬০ বছরের পর থেকে প্রত্যেক মাসে ৩০০০ টাকা করে পেনশন পেতে পারেন।
  2. কর্মরত অবস্থায় যদি কোনও ব্যক্তির দুর্ঘটনার কারণে অঙ্গহানি হয় অথবা তিনি পঙ্গু হয়ে যান তাহলে তাঁর পরিবার ১ লাখ টাকার অনুদান পেতে পারেন।
  3. ই-শ্রম কার্ডে নাম নথিভুক্ত করানো ব্যক্তি প্রয়াত হলে তাঁর পরিবার বিমার সুবিধা পাবেন।

আবেদনের পদ্ধতি (How to Apply for e-Shram Card)

ই-শ্রম কার্ডের জন্য বাড়ি বসে অনলাইনেই আবেদন করা যায়। কীভাবে করতে হয় সেই পদ্ধতি নিম্নে স্টেপ বাই স্টেপ তুলে ধরা হল।

  1. আবেদনকারীকে প্রথমে ই-শ্রম পোর্টালে যেতে হবে।
  2. যথাযথ তথ্য দিয়ে আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে।
  3. প্রয়োজনীয় নথিপত্র আপলোড করতে হবে।
  4. এরপর আবেদনপত্র সাবমিট করে দিতে হবে।

প্রসঙ্গত, যদি ই-শ্রম কার্ডে নাম নথিভুক্ত করানো থাকে তাহলে সেই ব্যক্তি PM Kisan, PMAY, PMJAY সহ কেন্দ্রীয় সরকারের চালু করা বেশ কয়েকটি সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। সেই সঙ্গেই নানান ধরণের বিমা, কৃষকদের সাহায্য, আয়ুষ্মান ভারত ইত্যাদির সুবিধা পেতে হলেও এই কার্ডে নাম নথিভুক্ত করাতে হবে।

Leave a Comment