শীত-গীষ্ম-বর্ষা হু হু করে বিক্রি হবে বছরভর, এই ব্যবসা একবার শুরু করলেই লাখপতি হবেন গ্যারেন্টি!

চাকরি ছেড়ে এখন বহু মানুষ ব্যবসার (Business Idea) দিকে ঝুঁকছেন। আপনিও যদি নিজস্ব ব্যবসা শুরু করার কথা ভেবে থাকেন তাহলে একদম সঠিক প্রতিবেদন পড়ছেন। কারণ আজ একটি দুর্দান্ত ব্যবসার খোঁজ নিয়ে এসেছি আমরা। সেই ব্যবসা হল টি-শার্ট প্রিন্টিংয়ের (T-Shirt Printing Business)। বাড়ি বসে এই ব্যবসা করেই আপনি আয় করতে পারবেন মোটা টাকা। কীভাবে? বিশদে জানার জন্য এই প্রতিবেদনটি  নিলেই বুঝতে পেরে যাবেন।

T-Shirt Printing Business

বর্তমান সময়ে টি-শার্টের (T-Shirt) ফ্যাশান বেশ ইন। টি-শার্ট কেনার চাহিদা দেখলেই সেকথা বেশ বুঝে নেওয়া যায়। তাই বাড়ি বসে যদি এই ব্যবসা (Business Idea) শুরু করলে আপনার কাছে ভালো টাকা আয়ের সুযোগ থাকবে। এক্ষেত্রে আপনাকে টি-শার্ট তৈরির কারখানা কিংবা পাইকারি বিক্রেতার কাছ থেকে প্লেন টি-শার্ট কিনে আনতে হবে। এরপর তার ওপর প্রিন্ট করতে হবে। এর জন্য আপনাকে কিনতে হবে একটি প্রিন্টিং মেশিন।

T Shirt Printing business

কীভাবে শুরু করবেন এই ব্যবসা? (How to Start T-Shirt Printing Business)

টি-শার্ট প্রিন্টিংয়ের এই ব্যবসা (T-Shirt Printing Business Machines) শুরু করার জন্য আপনাকে প্রিন্টিং মেশিন, কম্পিউটার, কাগজ এবং একটি হিট প্রেস কিনতে হবে। এরপর কোনও টি-শার্ট তৈরির কারখানা অথবা পাইকারি বিক্রেতার কাছ থেকে প্লেন টি-শার্ট (T-Shirt) কিনতে হবে। এবার সেই টি-শার্টগুলির ওপর বেশ ইউনিক কিছু ডিজাইন প্রিন্ট করুন। কারণ প্রিন্ট ইউনিক না হলে সেগুলি কেউ তেমন কিনতে চাইবেন না। আপনার টি-শার্টের প্রিন্ট যত বেশি ইউনিক হবে, গ্রাহকদের মধ্যে তার চাহিদা বৃদ্ধির সম্ভাবনাও তত বাড়বে।

আরও পড়ুনঃ UPI লেনদেনে ৭৫০০ টাকা ক্যাশব্যাক পাবেন এই ব্যাঙ্কের গ্রাহকরা! কীভাবে? দেখুন সেই পদ্ধতি

কোথায় বিক্রি করবেন? (Where to Sell?)

আপনি নিজের বাড়ি বসেই টি-শার্ট প্রিন্টিংয়ের ব্যবসা (T Shirt Selling) করতে পারেন। প্রিন্ট হয়ে যাওয়ার পর সেই টি-শার্ট আপনি চাইলে অনলাইনে বিক্রি করতে পারবেন। অ্যামাজন, মিশো, ফ্লিপকার্ট সহ প্রচুর ই-কমার্স সাইট রয়েছে। সেখানে নিজের টি-শার্ট বিক্রি করতে পারবেন আপনি। এর জন্য আপনাকে এই সাইটগুলিতে সেলার অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে এবং তারপর প্রোডাক্ট বিক্রি করতে হবে। ক্রেতার রেটিং যত ভালো হবে, তত বেশি অর্ডার আসতে থাকবে আপনার কাছে এবং আপনার আয়ও তত বৃদ্ধি পাবে।

ব্যবসা শুরু করতে কত টাকা খরচ হবে? (Investment for T-Shirt Business)

টি-শার্ট প্রিন্টিংয়ের ব্যবসা শুরু করতে গেলে আপনাকে মোটামুটি ৩-৪ লাখ টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। প্রিন্টিং মেশিন, কম্পিউটার, হিট প্রেস, কাগজ, প্লেন টি-শার্ট কিনতে আপনার টাকা লাগবে। এক্ষেত্রে বলে দেওয়া প্রয়োজন, আপনি যদি কম দামের প্রিন্টিং মেশিন কেনেন, তাহলে একসঙ্গে একটি টি-শার্ট প্রিন্ট করতে পারবেন। কিন্তু বেশি দামের অটোমেশন মেশিন হলে আপনাকে আরও বেশি টাকা বিনিয়োগ করতে হবে।

আরও পড়ুনঃ লোকে ফেলে দিলেও এটা দিয়েই হবে মোটা টাকা আয়! ইউনিক এই ব্যবসা শুরু করলেই লক্ষীলাভ গ্যারেন্টি

কত টাকা আয় হবে? (T-Shirt Selling Business Income)

প্রত্যেক ব্যবসার মতো এই ব্যবসাতেও আপনার প্রোডাক্ট বিকৃত ওপর আয় নির্ভর করবে। একটি প্লেন টি-শার্টের দাম ১২০ টাকা মতো। প্রিন্ট করতে খরচ পড়বে ১-১০ টাকা। যদি সূক্ষ্ম মুদ্রণ করেন তাহলে খরচ হবে ২০-৩০ টাকা মতো। এরপর সেই টি-শার্ট ২৫০-৩০০ টাকা দামে আপনি বাজারে বিক্রি করতে পারবেন।

অর্থাৎ টি-শার্ট কিনে প্রিন্ট করতে যত টাকা খরচ হবে, তার দ্বিগুণ দামে আপনি সেটি মার্কেটে বিক্রি করতে পারবেন। আপনি চাইলে কোনও পাইকারি বিক্রেতার কাছেও টি-শার্ট বিক্রি করতে পারেন। সেক্ষেত্রে লাভের পরিমাণ একটু কমতে পারে। এভাবে আপনি যদি মাসে ৫০০টি মতো টি-শার্টও বিক্রি করেন তাহলে প্রত্যেক মাসে প্রায় ৫০,০০০ টাকা আয় হবে আপনার।

Leave a Comment