মাসে নয় দিনে রোজগার কয়েক হাজার! বর্তমানের বাজারে সেরা ব্যবসা, দেখে নিন কিভাবে শুরু করবেন

যেভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়ছে সেই অনুযায়ী আয় বাড়ছে না। বর্তমানে দাঁড়িয়ে বেশিরভাগ মানুষই আয়ের দ্বিতীয় পথ খুঁজছেন। আপনিও যদি তাদের মধ্যে একজন হন কিংবা ব্যবসা (Business Start Up) শুরু করবেন ভাবছেন তাহলে আজকের প্রতিবেদন আপনারই জন্য। এমন একটা ব্যবসার (Business Idea) খোঁজ দেব, যেটার ডিমান্ড  এখন যেমন আছে তেমনি যতদিন যাবে ততই বাড়বে। কারণ যেকোনো কাজের ক্ষেত্রেই কম্পিউটার ও ল্যাপটপ লাগবেই লাগবে!

কম্পিউটার রিপেয়ারিং এর ব্যবসার আইডিয়ার A to Z গাইড (Computer Repairing Business Guide)

এখন সব বাড়িতেই স্মার্টফোনের মত কম্পিউটার বা ল্যাপটপ রয়েছে। পড়াশোনা থেকে শুরু করে কাজের ক্ষেত্রে কম্পিউটার অতন্ত্য প্রয়োজনীয়। আর যে দিকে প্রযুক্তি এগোচ্ছে তাতে আগামী দিনের এসবের ব্যবহার বাড়বে সেটা নিয়ে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই। ইলেক্ট্রনিক জিনিস ব্যবহার হলে সমস্যা হতেই পারে, যা রিপেয়ারিংয়ের দরকার হয়, কম্পিউটারও তার ব্যতিক্রম নয়। তাই যদি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ রিপেয়ারিংয়ের ব্যবসা (Computer Repairing Business) শুরু করা যায় তাহলে সেটার যেমন ডিমান্ড আছে তেমনি বেশ লাভজনকও বটে।

Computer Repairing Business Idea with Complete Guide

অনেকেই হয়তো ভাবছেন শহরাঞ্চলে প্রচুর কম্পিউটার হার্ডওয়্যার রিপেয়ারিং সেন্টার রয়েছে। কিন্তু আপনি হয়তো জানেন না, আজও এমন প্রচুর জায়গা রয়েছে যেখানে কম্পিউটার বা ল্যাপটপ সারাইয়ের লোকের চাহিদা তুঙ্গে। তাছাড়া শুধু যাহোক করে রিপেয়ারিং করলেই তো হল না ভালোমত কাজ জানতে হবে। তাই হার্ডওয়ার হোক বা সফটওয়্যার রিপেয়ারিংয়ের ব্যবসা বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে আয়ের একটা ভালো অপশন হতে পারে। এর জন্য লোক নিয়োগ করে বা নিজেও শিখে নিয়ে ব্যবসা করতে পারেন। নিচে এই সম্পর্কে বিস্তারিত দেওয়া হল।

কম্পিউটার বা ল্যাপটপ হার্ডওয়্যার রিপেয়ারিং কোথায় শিখবেন?

ছোটখাটো সমস্যা বা বেসিক রিপেয়ারিং চাইলে ইউটিউব বা CNet. com, ZDN. com এর মত বিশ্বস্ত ওয়েবসাইট থেকেই শিখে নিতে পারেন। এছাড়াও বিভিন্ন ইনস্টিটিউটে হার্ডওয়ার রিপেয়ারিংয়ের কোর্স করানো হয়। ৩ মাস থেকে শুরু করে ১ বছরের এই কোর্স করেও আপনি ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

আরও পড়ুনঃ কাজ করে শেষ করতে পারবেন না! বাড়িতেই বানান আধার সেন্টার, রইল শুরু থেকে শেষ সমস্ত খুঁটিনাটি

কোথায় ও কিভাবে দোকান খুলবেন?

ব্যবসার ক্ষেত্রে যেখানে লোকের নজর বেশি পরে বা যোগাযোগ ভালো এমন একটা জায়গা বেছে নিতে হবে। তবে এক্ষেত্রে কিছুদিক মাথায় রাখতে হবে, আপনার যদি বাড়ি ভালো এলাকায় থাকে তাহলে বাড়ি থেকেই ব্যবসা শুরু করতে পারেন। নাহলে দোকান ভাড়া করে ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

কিভাবে কাস্টমার আসবে?

দোকান খোলার পর সামনে বড় করে ব্যানার বা হোডিং লাগিয়ে দিতে হবে। এরপর পোস্টারিংয়ের মাধ্যমে প্রচার করতে পারেন। এরপর আজকাল ফেসবুক বা টুইটার এর মত সোশ্যাল মিডিয়াতে বিনামূল্যেই প্রচার করা যায়। এছাড়াও আপনি শুরুতে কাস্টমার আনার জন্য অ্যাড এর ব্যবহার করতে পারেন। তবে নিজস্ব প্রতিষ্ঠানের নামের একটি ওয়েবসাইট বানিয়ে নিলে তা আপনার কাস্টমার বেস বাড়াতে সাহায্য করবে।

আরও পড়ুনঃ উচ্চমাধ্যমিকের পর পড়াশোনার পাশাপাশি হবে মোটা আয়! দেখে নিন LIC এজেন্ট হওয়ার পদ্ধতি

কম্পিউটার ল্যাপটপ রিপেয়ারিংয়ের ব্যবসায় কত ইনভেস্টমেন্ট লাগে ও কত আয় হবে?

যেহেতু কম্পিউটার বা ল্যাপটপ একটু দামি ইলেক্ট্রনিক তাই খরচ একটু বেশি। তাছাড়া দোকান শুরু করার ক্ষেত্রেও পুঁজি লাগে তাই আসবাবপত্র, যন্ত্রপাতি থেকে শুরুর প্রচারের খরচ সব খরচ মিলিয়ে ৫ লক্ষ টাকা মত মূলধন ধরে রাখতে হবে। তবে একবার ব্যবসা শুরু হয়ে গেলে দিনে ১০০০-৩০০০ টাকা আয় হতেই পারে। এমনকি কিছু সময় তার থেকেও বেশি আয় হয়। এর সাথে আপনি যদি বাড়ি গিয়ে সমস্যার সমাধান করতে পারেন তাহলে আরও কিছুটা বেশি উপার্জন হয়ে যাবে।

Leave a Comment