শুরু থেকেই হবে লক্ষ টাকা আয়! গরমে স্বল্প পুঁজির এই ব্যবসা শুরু করলে লক্ষ্মীলাভ গ্যারান্টি

মার্চ মাস পড়তেই  আবহাওয়ার পারদ বলছে গ্রীষ্ম আসতে খুব একটা দেরি নেই। আর এই সময়েই শুরু করতে পারেন দুর্দান্ত লাভের একটি ব্যবসা (Business Idea)। যে ব্যবসা একবার দাঁড়িয়ে গেলে ৩-৪ মাসের মধ্যে সহজেই ৭-৮ লাখ টাকা আয় করতে পারবেন আপনি!

গ্রীষ্মকালে একটু স্বস্তির খোঁজে অনেকেই চুমুক দেন কোল্ড ড্রিঙ্কসের বোতলে। রোদে তেতেপুড়ে যাওয়ার পর এক বোতল কোল্ড ড্রিঙ্কস খেলে মনে হয় যেন শরীরটা জুড়িয়ে গেল! খেতে সুস্বাদু, শরীরকে সাময়িক আরাম দিলেও এই কোল্ড ড্রিঙ্কস কিন্তু শরীরের ক্ষতিও করে! সেই কারণে এর পরিপূরক হিসেবে আপনি বিক্রি শুরু করতে পারেন বাটারমিল্ক শেকের ব্যবসা (Buttermilk Shake Business)। এটি যেমন খেতে সুস্বাদু, তেমনই শরীরের পক্ষেও ভালো।

Buttermilk Shake Shop Business

স্বল্প পুঁজির এই ব্যবসা করে হয়ে যান মালামাল!

তাপমাত্রা আস্তে আস্তে বাড়তে শুরু করছে। মাঝেমধ্যেই দু-এক পশলা বৃষ্টি হলেও প্রখর রোদ ও ঘাম শরীরকে ডিহাইড্রেট করে দিচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা এই সময় প্রচুর জল পানের কথা বলছেন। জল ছাড়া এই সময় স্বাস্থ্যকর নানান শেক এবং জুসও পানও করা যায়। এই সময় চাইলে বাটারমিল্ক শেকও (Buttermilk Shake) কিন্তু পান করা যায়। এটি যেমন একদিকে শরীরে জলের চাহিদা পূরণ করে, তেমনই শরীর ভালো রাখে।

বাটারমিল্ক শেকের (Buttermilk Shake) একাধিক গুণাগুণও রয়েছে। এটি খাবার হজম করতে সাহায্য করে। এটি হালকা। বিশেষজ্ঞদের কথায়, গরমকালে যদি নিয়মিত বাটারমিল্ক শেক পান করা হয় তাহলে প্রচুর রোগ এমনিতেই দূরে থাকবে! তাই আপনি চাইলে বাড়ি বসে এই বাটারমিল্ক শেকের ব্যবসা (Buttermilk Shake Business) শুরু করতেই পারেন। একবার ব্যবসা দাঁড়িয়ে গেলে ৪-৫ মাসে ৭-৮ লাখ টাকা অবধি আয় করতে পারবেন আপনি। তবে ব্যবসা শুরুর আগে কয়েকটি জিনিস একটু মাথায় রাখা দরকার। চলুন সেগুলি দেখে নেওয়া যাক।

আরও পড়ুনঃ এই তিন স্কিমে বিনিয়োগ করলে সুরক্ষিত হবে ছেলেমেয়ের ভবিষ্যৎ, সন্তান সাবালক হলে মিলবে ৭০ লাখ টাকা!

ব্যবসা শুরুর আগে মাথায় রাখবেন কিছু জিনিস!

  1. যে কোনও খাবার কতখানি বিক্রি হবে তা অনেকাংশে নির্ভর করে তার স্বাদের ওপর। বাটারমিল্ক শেকের ব্যবসা (Buttermilk Shake Business) শুরুর আগে তার স্বাদ কেমন হয়েছে সেটা অবশ্যই পরখ করে নেবেন। স্বাদ ভালো হলে বিক্রি শুরু করে দিন।
  2. বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে প্রোডাক্টের ব্র্যান্ডিং খুব জরুরি। ব্যান্ডের নাম একটি ব্যবসাকে অনেক দূর নিয়ে যেতে সাহায্য করে।
  3. কোথায় বিক্রি করছেন সেটাও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়। বাড়ি বসে বিক্রির পাশাপাশি আপনি চাইলে বাজারে গিয়েও বিক্রি করতে পারেন। কারণ সেখানে জনসমাগম বেশি, তাই বিক্রির সম্ভাবনাও বেড়ে যাবে।
  4. যে কোনও দ্রব্য বিক্রির ক্ষেত্রে প্যাকেজিংও ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। আকর্ষণীয় প্যাকেজিং দেখেও অনেক সময় গ্রাহকরা আকৃষ্ট হন।
  5. ব্র্যান্ডিং, মার্কেটিংয়ের পাশাপাশি মার্কেটিংয়ের দিকেও নজর দিতে হবে। এর জন্য আপনি স্থানীয় রেস্তোরাঁ, ক্যাফে, হোটেলের সঙ্গে কথা বলতে পারেন।

আরও পড়ুনঃ ৩০০০ টাকা বিনিয়োগ করে হয়ে যান কোটিপতি! এই মালামাল প্ল্যান সম্বন্ধে জানেন?

সব মিলিয়ে বলা যায়, ওপরের কয়েকটি জিনিস মাথায় রেখে আপনি সহজেই শুরু করতে পারেন বাটারমিল্কের ব্যবসা। নিজের বাজেট অনুসারে সুস্বাদু, স্বাস্থ্যকর এবং মানসম্পন্ন প্রোডাক্ট তৈরি করবেন। দেখবেন দু’হাতে লাভ হচ্ছে আপনার!

Leave a Comment