মাস গেলে লাখ টাকা আয়! হেভি ডিমান্ডের এই ব্যবসা শুরু করলে একমাসেই হবেন মালামাল

ব্যবসার বাজারে এখন কম্পিটিশন প্রচুর। যে কোনও ব্যবসার (Business Idea) ক্ষেত্রেই কড়া প্রতিযোগিতার মুখে পড়তে হয়। সেক্ষেত্রে এখন বেশিরভাগ ব্যবসায়ী এমন বিজনেসের খোঁজে আছেন যেখানে প্রতিযোগিতা তুলনামূলক কম। আজকের প্রতিবেদনে আপনার জন্য এমনই একটি ব্যবসার (Business) খোঁজ নিয়ে এসেছি আমরা। আপনিও যদি নতুন ব্যবসা শুরুর পরিকল্পনা করে থাকেন তাহলে এই প্রতিবেদনটি আপনার কাজে আসতে পারে।

আজ আমরা যে ব্যবসার কথা বলবো তা শুরু করতে গেলে লাগবে শুধু একটি মেশিন! ৫০,০০০ টাকা দিয়ে সেই মেশিন কিনে আপনি শুরু করতে পারেন এই ব্যবসা। মাস গেলে ১ লাখ টাকা অবধি আয় হতে পারে আপনার! এই ব্যবসা হল 3D প্রিন্টিংয়ের (3D Printing Business)। এই মুহূর্তে ভারতে এই ব্যবসা খুব কম মানুষই করেন। সেই জন্য এই মার্কেটে কম্পিটিশনও বেশ কম। আর আপনি যদি আপনার এলাকায় প্রথম এই ব্যবসা শুরু করেন তাহলে তো আরও ভালো!

ব্যবসার আইডিয়া : Business Ideas

3D Printing Business

3D প্রিন্টিংয়ের (3D Printing Business) ব্যবসা শুরুর জন্য প্রথমে আপনাকে একটি 3D প্রিন্টিং মেশিন কিনতে হবে। এরপর একটি দোকান খুলতে হবে। যদি রাস্তার ওপর দোকান হয় তাহলে তো আরও ভালো। এই 3D প্রিন্টিং মেশিন (3D Printing Machine) দিয়ে আপনি গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী নানান ধরণের সামগ্রী তৈরি করতে পারবেন।

আরও পড়ুনঃ মাত্র ১০,০০০ টাকা বিনিয়োগ করে শুরু করুন এই ব্যবসা! প্রথম দিন থেকেই লক্ষ্মীলাভ গ্যারান্টি

ভাবুন, আপনার জীবনের কোনও বিশেষ দিনে আপনার কাছের মানুষ যদি আপনাকে একটি কাস্টোমাইজড মূর্তি উপহার দেন তাহলে কেমন লাগবে? অথবা আপনার ছেলেবেলার স্মৃতি হিসেবে যদি ছবির বদলে তার একটি মূর্তি দেওয়া হয় তাহলেও বা কেমন অনুভূতি হবে? 3D প্রিন্টিং মেশিনের সাহায্যে খুব সহজেই আপনি ছবি থেকে মূর্তি তৈরি করে নিতে পারবেন।

ত্রিডি প্রিন্টিংয়ের ব্যবসায় কত আয় হতে পারে? 3D Printing Business Income

আপনি 3D প্রিন্টিং মেশিনের (3D Printing Machine) সাহায্যে গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী, খেলনা, পছন্দের কার্টুন চরিত্রের মূর্তি সহ আরও নানান জিনিস তৈরি করতে পারবেন। গ্রাহকরা চাইলে এই মেশিনের মাধ্যমে নিজের মূর্তিও বানাতে পারবেন। কাস্টোমাইজড এই সামগ্রীর জন্য আপনিও চার্জ করতে পারবেন মোটা টাকা।

এদেশে যেহেতু 3D প্রিন্টিংয়ের ব্যবসা (Business Idea) খুব একটা নেই, তাই আপনি বেশ অনেকটা লাভ রেখে পণ্যগুলি গ্রাহকদের কাছে বিক্রি করতে পারবেন। এক্ষেত্রে কাস্টোমারের সংখ্যা কম হলেও আপনার মোটা টাকা আয় হবে। ধরা যাক, একটি মূর্তি তৈরিতে আপনার ১০০ টাকা খরচ হয় কিন্তু আপনি সেই মূর্তিটি ১০০০ টাকায় বিক্রি করেন। সেক্ষেত্রে আপনার লাভ থাকে ৯০০ টাকা।

আরও পড়ুনঃ ব্যাঙ্ক না পোস্ট অফিস? ১ লাখ টাকা বিনিয়োগে কোথায় সুদ বেশি? ক্যালকুলেশন সহ নিজেই দেখে নিন

এভাবে যদি আপনি নিজের দোকানের প্রত্যেকটি সামগ্রীর মূল্য ১০০০ টাকা ঠিক করেন এবং এক মাসে ১০০টি জিনিস বিক্রি করতে পারেন তাহলে আপনার ১ লাখ টাকা আয় হয়ে যাবে। যত বেশি সামগ্রী বিক্রি করতে পারবেন ততই বাড়বে আপনার আয়ের পরিমাণ।

কারা এই 3D Printing এর ব্যবসা করতে পারবেন? 

3D প্রিন্টিং মেশিন চালানো বেশ সহজ। পাশাপাশি এই মেশিনের সাহায্যে খুব তাড়াতাড়ি জিনিস্তইরি করা যায়। শুধু ছবি দিলেই তার বাস্তব আকার তৈরি করে দেবে এই 3D প্রিন্টিং মেশিন। কলেজ পড়ুয়া থেকে শুরু করে গৃহবধূ হয়ে প্রবীণ নাগরিক- এই ব্যবসা (3D Printing Business) করতে পারেন সকলেই।

Leave a Comment