ভারতের প্রথম আন্ডারওয়াটার মেট্রোর পথচলা শীঘ্রই শুরু হতে চলেছে। কিছু সময়ের অপেক্ষা শেষেই নয়া মাইলফলক স্পর্শ করবে কলকাতা মেট্রো (Kolkata Metro) । গঙ্গার নীচ দিয়ে ছুটে যাবে দেশের প্রথম যাত্রীবাহী মেট্রো (Underwater Metro)। আর সেই অভিজ্ঞতাকে আরও বিশেষ করে তুলতে নানান রকম উদ্যোগ নিচ্ছে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ।
কলকাতা মেট্রোর ইস্ট-ওয়েস্ট করিডরের (Kolkata Metro East West Corridor) মধ্যে দিয়ে যাত্রীরা যখন যাবেন তখন তাঁরা দেখতে পাবেন মাছ। সেই সঙ্গেই কানে আসবে ঢেউয়ের আওয়াজ। না, একেবারেই চমকে যাবেন না। কারণ সত্যি সত্যিই এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ (Metro Railway Kolkata)। কীভাবে স্মরণীয় করে তোলা হবে যাত্রীদের ভ্রমণ? তা জানতে সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি পড়ার অনুরোধ রইল।
গঙ্গার নীচে মেট্রো যাত্রা স্মরণীয় করতে বিশেষ উদ্যোগ মেট্রো রেলের!
হাওড়া ময়দানের সঙ্গে সল্টলেক সেক্টর ৫-কে কানেক্ট করেছে কলকাতা মেট্রোর ইস্ট-ওয়েস্ট করিডোর (Kolkata Metro Line 2)। এটি সম্পূর্ণ ভারতের প্রথম আন্ডারওয়াটার মেট্রো করিডোর। গত বছর তথা ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে ইস্ট-ওয়েস্ট করিডোরের একটি ট্রায়াল রান হয়েছিল। অনুমান করা হছে, চলতি বছর তথা ২০২৪ সালের মাঝামাঝি থেকে এই রুট চালু হয়ে যাবে।
গত বছর ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর ট্রায়াল রানের ছবি দেখে অনেকেই কিছুটা আশাহত হয়েছিলেন। আন্ডারওয়াটার মেট্রোকেও আন্ডারগ্রাউন্ড মেট্রোর মতো দেখাচ্ছে বলেছিলেন অনেকে। তাই এবার এই ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর এই সফর আরও আকর্ষণীয় করে তোলার উদ্যোগ নিয়ে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ।
ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোয় কেমন অভিজ্ঞতা হবে যাত্রীদের?
সম্প্রতি কলকাতা মেট্রোর মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র জানান, হুগলি নদীর নীচ দিয়ে যাওয়ার সময় ৫২০ মিটার রুটে যাত্রীদের বিশেষ অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে পারেন। এমনই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে। মেট্রোয় ৫২০ মিটার যেতে সময় লাগবে ৪৫ সেকেন্ড মতো। এক মিনিটেরও কম সময়ে যাত্রীদের এমন কিছু অভিজ্ঞতা হবে যা হয়তো তাঁদের আজীবন মনে থেকে যাবে।
হুগলি নদীর নীচ দিয়ে ৫২০ মিটার পথ যাওয়ার সময় যাত্রীরা দেখতে পাবেন নীল আলোয় রঙবেরঙের মাছ। পাশাপাশি তাঁদের শোনার জন্য জলের ঢেউয়ের আওয়াজেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। লাইট এবং সাউন্ড এফেক্টের মাধ্যমে এভাবেই যাত্রীদের আন্ডারওয়াটার মেট্রো সফর স্মরণীয় করে তোলার উদ্যোগ নিয়ে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ। জানা যাচ্ছে, জনপ্রিয় ইলেকট্রনিক কোম্পানি ফিলিপস এবং মেট্রো রেলের যৌথ উদ্যোগে সম্পূর্ণ ব্যবস্থা করা হচ্ছে।